উৎসর্গঃ সিড ব্যারেট, তাঁর চোখ এবং তাঁর চোখের মতো চোখের অধিকারী সকল মানুষ এবং মানুষীদের সাক্ষাৎকারটা অনুবাদ করা হয়েছে পল রাবিনোর 'The Foucault Reader' বই থেকে। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন পল রাবিনো, চার্লস টেইলর, মার্টিন জে, রিচার্ড ররটি এবং লিও লয়েনথল স্থানঃ বার্কলে, এপ্রিল ১৯৮৩ রাজনীতি এবং নৈতিকতাঃ সাক্ষাৎকার প্রশ্নঃ আমেরিকাতে আজকাল আপনার কাজকে প্রায়ই হ্যাবারমাসের [...]
বইয়ের নাম- A History of Anthropology লেখক- Thomas Hylland Eriksen and Finn Sivert Nielsen অধ্যায় একঃ সূচনা নৃতত্ত্ববিদদের অস্তিত্ব কতো আগে থেকে? এই বিষয়ে মতামত নানারকম হতে পারে। প্রশ্নের উত্তরটা মুখ্যত নির্ভর করে কেউ একজন নৃতত্ত্ববিদ বলতে আসলে কী বোঝাচ্ছেন। নিকটবর্তী এবং দূরবর্তী- এই দু ধরণের মানুষ সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ চিরকালের। তারা যেমন এইসব মানুষদের [...]
উৎসর্গ- রায়হান আবীর একজন- মেঘদলের অন্ধ ভক্ত এবং সদ্যপ্রয়াত মেধাবী যুবক :-P মুক্তমনায় শেষ লেখাটা লিখেছিলাম প্রিয় ব্যান্ড ব্ল্যাক নিয়ে। সেই লেখাটার শুরুতে একটা কৈফিয়ত দিয়েছিলাম। যারা কষ্ট করে লেখাটি পড়েছেন তারা জানেন কৈফিয়ত দেয়ার কারণটা কী ছিল। আজকে যখন মেঘদল নিয়ে লিখতে বসেছি তখন এখানেও একটা ব্যাপার উল্লেখ করতে চাই, সেটা হচ্ছে ঠিক যে [...]
শাহাদুজ্জামানের একটা গল্প, তাঁর “পশ্চিমের মেঘে সোনার সিংহ” বইতে; নাম “কাগজের এরোপ্লেন”। গল্পটা পড়ে আমার খুব হাসি পায়, এবং করুণা হয়- নিজের প্রতি। হাসির সাথে মিশে থাকে গা শিরশির করা একটা তরঙ্গ, নিজের হাসিতে দুঃখমাখা অশ্রুও হয়তো আসে, অবশ্য সেটা দু-এক ফোঁটার বেশী নয়। কারণ আমি এই গল্পটা নিয়ে কিছু লিখতে চাই এই মুহূর্তে। নিজের [...]
শাহাদুজ্জামানের বই পড়া মানেই অন্যরকম একটা অনুভূতি, ভালোলাগাটার মধ্যেও এক ধরণের বিষণ্ণতা কাজ করে ভেতরে ভেতরে। সে যেন এক বিকারহীন রচয়িতা, অবাস্তব দ্বারা বাস্তবের কঠোর নির্মাতা। নির্বিকারভাবে বলে যান আমাদের ভেতরের কথাগুলো- আর পরতে পরতে উন্মোচিত করেন এমন এক ধরণের সত্য, যার সাথে আমরা যেন পরিচিত হয়েও পরিচিত না; ধরা দিয়েও অধরা থেকে যায় দীর্ঘশ্বাসের [...]
তিনি বিবর্তনের বিরুদ্ধে আরও পরিষ্কার করে বলেছেন, "আমি ওল্ড ফুলস ক্লাবের আড্ডায় প্রায়ই ঈশ্বর-বিষয়ক একটি গল্প বলি। পাঠকদের গল্পটি জানাচ্ছি। ধরা যাক এক কঠিন নাস্তিক মঙ্গল গ্রহে গিয়েছেন। সেখানকার প্রাণহীন প্রস্তরসংকুল ভূমি দেখে তিনি বলতে পারেন-একে কেউ সৃষ্টি করেনি। অনাদিকাল থেকে এটা ছিল। তার এই বক্তব্যে কেউ তেমন বাধা দেবে না। কিন্তু তিনি যদি মঙ্গল গ্রহে হাঁটতে হাঁটতে একটা ডিজিটাল নাইকন ক্যামেরা পেয়ে যান, তাহলে তাঁকে বলতেই হবে এই ক্যামেরা আপনা-আপনি হয়নি। এর একজন সৃষ্টিকর্তা আছে। মনে করা যাক ক্যামেরা হাতে তিনি আরও কিছুদূর গেলেন, এমন সময় গর্ত থেকে একটা খরগোশ বের হয়ে এল। যে খরগোশের চোখ নাইকন ক্যামেরার চেয়েও হাজার গুণ জটিল। তখন কি তিনি স্বীকার করবেন যে এই খরগোশের একজন সৃষ্টিকর্তা আছে?"
স্রোডিনজারের বিড়ালটা আমি দেখছি । আমার দেখার কারণে বিড়ালের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে । এখন অবস্থাটা হচ্ছে আমার অবস্থাটা কি ?আমার অবস্থা জানার জন্যে আরেকজনকে আমার দিকে তাকাতে হবে যাতে আমার wave function collapse করে। সেইজনকে বলা হয় wigner’s girlfriend । উইনারের বান্ধবী । এখন সেই বান্ধবীর wave function কলাপস করার জন্যে আরেকজন লাগবে। তাঁর পেছনে আরেকজন লাগবে । এরকম চলতেই থাকবে। আমরা শেষ পর্যন্ত কোথায় থামবো ? একজন cosmic observer এ এসে থামবো । পাঠক লক্ষ্য করেছেন কোয়ান্টাম থিওরি আমাদের আধ্যাত্মবাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।
