(র্পব-৩)

আধুনিক যুগের শিক্ষিত, মডারেইট মুসলমানদের অনেকে আশা পোষণ করেন আরেকটা আকবরের ‘দ্বীন-ই এলাহি’ ধর্ম আবিষ্কার করার। আরবের রাজতন্ত্র তারা মানেন না, ৯/১১ তে ইহুদি-নাসারা, খ্রিস্টানদের অকাল মৃত্যুতে তাদের প্রাণ কাঁদে, তারা হিন্দু-মুসলিম ভাই-ভাই শ্লোগান দেন, তারা আফগানিস্থানের বৌদ্ধমূর্তি ভাঙা সমর্থন করেন না। তারা সিলেটের শ্রীমঙ্গলের কমলগঞ্জ গ্রামের ব্যাভিচারীনী নূরজাহানের পক্ষ নিয়ে মৌলানা মান্নানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন। হুমায়ুন আযাদ, রাজীব খুন হওয়ায় মৌন আক্ষেপ করেন। ব্যাভিচারী নরনারীকে পাথর মেরে হত্যা, চোরের হাত কাটা তারা সমর্থন করেন না। ইসলাম সংস্কার করবেন ভাল কথা, ১৫শো বছর পূর্বের সমাজ আর আজকের সমাজ, সমাজের চাহিদা প্রয়োজন, বিশ্বসংস্কৃতি সমান নয়। ১৫শো বছর পূর্বের সব কিছু মেনে চলা সম্ভব নয়। অন্যান্য ধর্মগুলোর সংস্কার সম্ভব হয়েছে কিন্তু ইসলাম যে সংস্কার সম্ভব নয় তা এই তথাকথিত মডারেইট মুসলমানগণ ভাল করেই জানেন। তাদের নাকের ডগার উপর দিয়ে, তাদের চোখের সামনে ধর্মের নামে খুন-খারাবী, ধর্ষণ হত্যা জিহাদের নামে জ্বালাও-পুড়াও চলছে অবিরাম। আজও ফতোয়া দেয়া হয় পাথর মারা হয়, নারীকে তেঁতুল বলা হয়, শ্রমিক মহিলাদের বেশ্যা বলা হয় কিন্তু মডারেইট মুসলমানগন এ ব্যপারে সম্পূর্ণ নীরব নিশ্চুপ। জিহাদীরা ইসলামী সন্ত্রাস, ফতোয়াবাজরা শরিয়ার ফতোয়া ধর্মগ্রন্থ হাতে নিয়েই করছে। প্রকাশ্যে খোলা মাঠে কোরান হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে জিহাদ ও শরিয়া আইনের প্রচারণা করছে। মডারেইট মুসলমানগণ তা দেখেও না দেখার, শোনেও না শোনার ভান করেন। তার মা’নে হলো তারাও ইসলামী সন্ত্রাস সমর্থন করেন তবে মুখে নয় অন্তরে। দেখা যাক ইসলামি সন্ত্রাস আর শরিয়ার অমানবিক আইনের উৎসটা কোথায়; হাদিস সাক্ষী দিচ্ছে, নবী মুহাম্মদ (দঃ) তাঁর জীবদ্দশায় ‘রজম’ (পাথর মেরে হত্যা) নামক শরিয়ার আইন দ্বারা বহু ব্যাভিচারী নরনারীকে পাথর মেরে হত্যা করেছিলেন। দু একটি প্রমাণ নিচে দেয়া হলো;

হজরত আস্ শাবানী থেকে বর্ণীত- ‘আমি আব্দুল্লাহ বিন আবু আউফকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আল্লাহর রাসুল কি ‘রজম’ বিধান (পাথর মেরে হত্যা) কারো উপর প্রয়োগ করেছিলেন’? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, সুরা ‘নুর’ নাজিল হওয়ার আগে না পরে। তিনি বললেন, তা জানিনা’। (সহি বোখারি শরিফ, ভলিউম ৮, বুক ৮২, নম্বর ৮০৪)

হজরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ আল্ আনসারী বর্ণনা করছেন-

‘বনি আসলাম গোত্রের একজন বিবাহিত লোক এসে নবীজীর কাছে চারবার বল্লো যে, সে একজন নারীর সাথে অবৈধ সঙ্গম করেছে। নবীজী তাকে পাথর মেরে হত্যার আদেশ দিলেন, যেহেতু সে বিবাহিত ছিল। পাথর মারায় আমিও অংশ গ্রহন করেছিলাম। মুসালা’য় তাকে পাথর মারা শুরু হলো। পাথরের আঘাত সহ্য করতে না পেরে লোকটি দৌড়ে পালাতে থাকলো, আমরা তাকে দৌড়ায়ে আল্ হারা’য় ধরে ফেললাম এবং সেখানেই তাকে পাথর মেরে হত্যা করলাম’। (সহি বোখারি শরিফ, ভলিউম ৮, বুক ৮২, নম্বর ৮০৫)।

ঘঠনাটি ৮১৪ নং হাদীসে হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) একই ভাবে বর্ণনা করেছেন। পাথর মেরে হত্যার বিধান সম্পর্কিত হাদিস জানতে দেখুন : সহি বোখারি শরিফ, ভলিউম ৮, বুক ৮২, নম্বর ৮০৩, ৮০৪, ৮০৫, ৮০৬, ৮০৭, ৮০৮, ৮০৯, ৮১০, ৮১২, ৮১৩, ৮১৪, ৮১৫, ৮১৬)। প্রশ্ন উঠতে পারে ব্যাভিচারী নরনারীকে পাথর মেরে হত্যা কি কোরান সমর্থিত? এর উত্তর খোঁজার আগে আমরা আরো একটি হাদিস জেনে নেই। দীর্ঘ এ হাদিসটিতে হজরত ওমর (রাঃ) হজরত আবুবকরের (রাঃ) খেলাফত গ্রহনকালের কিছু ঘঠনা উল্লেখ করেছেন, আমরা সংক্ষিপ্তাকারে ‘রজম’ (পাথর মেরে হত্যা) সম্পর্কিত অংশটুকু ইংরেজিতে তুলে দিলাম।

Narrated ibn’ Abbas: ‘Umar sat on the pulpit and when the callmakers for the prayer had finished their call, Umar stood up and having glorified and praised Allah as He desereved, he said, ‘Now then, I am going to tell you something which Allah has written for me to say, Allah sent Mohammed with the Truth and revealed the Holy Book to him, and among what Allah revealed, was the verse of the ‘Rajam’ (the stoning to death of married person) who commits illegal sexual intercourse, and we did recite this Verse and understood and memorized it. Allah’s Apostle did carry out the punishment of stoning and so did we after him. (Bukhari Sharif, Volume 8, Book 82, Number 817)

কোথায় সেই আয়াত? কে কবে আয়াতটি হাইজ্যাক করলেন? উৎসাহী কোন পাঠক যদি আয়াতটির সন্ধানে কোরান তছনছ করতে চান, তাহলে বলে রাখি যে, কেউ কেউ বলেছেন ঐ আয়াতটি নাকি হজরত আয়েশার বালিশের নিচে থেকে বের করে এক দাঁড়িওয়ালা ছাগলে খেয়ে ফেলেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, মুহাম্মদ (দঃ) সুরা ‘নুর’ রচনা করেছিলেন আয়েশার উপর ব্যাভিচারীনীর বদনাম রটনার একমাস পরে।

স্মরণ করা যেতে পারে ৬৩০ খ্রিস্টাব্দের ১১ জানুয়ারি মক্কা বিজয়ের দিনের কথা। সেদিন আবু সুফিয়ানের বংশধরের অতি আদরের অসীম ভক্তির, বহু কষ্টে গড়া ৩৬০টি দেবতার মাথা ভেঙে চুরমার করা হলো তাদের চোখের সামনে একজন সাহাবিও উঁহু করলেন না। অথচ এ মূর্তিগুলোর পূজা একসময় মুহাম্মদের পিতা-মাতা, পূর্বপুরুষেরা অত্যন্ত ভক্তিভরেই করতেন। একই বছরের (৬৩০ খ্রিস্টাব্দ) জুলাই মাসে নবীজি হযরত আলিকে দিয়ে তাঈ সম্প্রদায়ের এক পৌত্তলিক গোত্রের ফালস্ (Fuls) দেবতার মনুষ্যাকৃতির মূর্তি ও উপাসনালয় ভেঙে গুড়িয়ে দিলেন, তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করলেন। নবী মুহাম্মদের জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করলে আমরা দেখতে পাই, মুহাম্মদের মদিনায় অবস্থানকালীন সময়ে আউস গোত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আবু আমির, মুহাম্মদের ‘নবীত্ব’কে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি অন্যান্য গোত্রপ্রধানদের কাছে অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন, “মুহাম্মদ ঐশী বাণীর দোহাই দিয়ে একেশ্বরবাদকে বিকৃত করেছেন।” এমন কি আরবের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী যাত্রীদলের উপর মুহাম্মদের আক্রমণকে আবু আমির ‘রাহাজানি’, ‘লুণ্ঠন’হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং মুহাম্মদকে ‘বিপজ্জনকভাবে উচ্চাকাংখী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আবু আমিরের অনুসারীরা মদিনার ওয়েসিসের কাছে প্রার্থনা ঘর হিসেবে একটি মসজিদ স্থাপন করেছিল; পাশাপাশি এটি দুঃস্থ ও দরিদ্রদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কোরানে উল্লেখ আছে : (মুনাফিকদের মধ্যে) যারা ক্ষতিসাধন, সত্য প্রত্যাখ্যান ও বিশ্বাসীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিল, যে পূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রসুলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিল, তারা হলফ করে বলবে, ‘আমরা সৎ উদ্দেশ্যেই এটা করেছি, আল্লাহ সাক্ষী, নিশ্চয়ই ওরা মিথ্যেবাদী।”(সুরা তওবা ৯, আয়াত ১০৭) কোরানে মুহাম্মদ তাঁর সঙ্গী-সাথীদের আবু আমিরের মসজিদের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি করে দিলেন : “তুমি নামাজের জন্য এর মধ্যে কখনো দাঁড়াবে না…। ওদের ঘর যা ওরা তৈরি করেছে তা ওদের সন্দেহের কারণ হয়ে থাকবে, যে-পর্যন্ত না ওদের অন্তর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।” (সুরা তওবা ৯, আয়াত ১০৮, ১১০)। ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে সিরিয়াতে আবু আমির মারা গেলে এই প্রার্থনা-ঘরটি নবী মুহাম্মদের নির্দেশে তাঁর অনুসারীরা আগুনে পুড়িয়ে ফেলে এবং পরবর্তীতে এ স্থানকে মলমূত্রের স্থান হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়। তাহলে বলা যায়, মূর্তি-উপাসনালয়-ভাস্কর্য ভাঙা ইসলামের সহজাত এবং তা প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতা আমরা দেখতে পাই ২০০১ সালের মার্চ মাসে আফগানিস্তানের বামিয়ান প্রদেশে তালেবানদের দ্বারা বৌদ্ধদেবের মূর্তি ভাঙায়। তেমনি ১৪ই অক্টোবর, ২০০৮ তারিখে ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গোলচত্বরে বাংলার চারণ কবি লালনের স্মরণে নির্মাণাধীন বাউল ভাস্কর্যটি কওমি মাদ্রাসার কয়েকশ ছাত্র ভেঙে গুড়িয়ে দিল। এরপর ২৯শে নভেম্বর তারিখে ‘আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নামের আরেকটি মৌলবাদী গোষ্ঠীর প্রায় চারশ কর্মী হাতুড়ি-শাবল দিয়ে রাজধানী ঢাকার মতিঝিলে ‘বলাকা’ ভাস্কর্যটিও ক্ষতিগ্রস্থ করলো। তাদের উভয়ের দাবি ভাস্কর্য ইসলাম-বিরোধী তাই বাংলাদেশ থেকে সব ভাস্কর্য, মূর্তি, ছবি নিশ্চিহ্ন ও ধ্বংস করে ফেলা চাই।

শিক্ষিত মুসলমানেরা দাবি করেন, কোরান শরিফেই লিপিবদ্ধ আছে অর্থনীতি, পৌরনীতি, রাজনীতি, সমাজ-বিজ্ঞান, ভূ-বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞানসহ দুনিয়ার যাবতীয় সব জ্ঞান; একমাত্র এই বইয়েই আছে, জগতের সকল মানুষের ইহলোক ও পরলোকের সকল সমাধান! পনেরশত বৎসর যাবৎ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান বইখানি সাদরে, সমাদরে, মগজে, বুকে-অন্তরে ধারণ করে রাখলেন, ফল কী হলো? পনেরশত বৎসর কোরান পড়ে কোন্ বিজ্ঞানী কোন্ জিনিষটা আবিষ্কার করলেন? অথচ বিজ্ঞানের যে কোনো নূতন আবিষ্কারের কিছুদিন পরই দেখা যায়, ঐ আবিষ্কারের তথ্য মুসলমানেরা কোরানের মধ্যে খুঁজে পেয়ে গেছেন! বলা হয়, অমুসলিমরা বিজ্ঞানের নতুন তথ্য-তত্ত্ব আবিষ্কার করে কোরান গবেষণা করেই। অথচ অমুসলিমদের দ্বারা বিজ্ঞানের কোন বিষয়ে আবিষ্কারের আগে কোনো মুসলিম কিন্তু কোরানে ঐ বিষয়ে কি ইঙ্গিত দেওয়া আছে, সে ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ব্যাখ্যা দিতে পারেন না বা দেন না। মজার ব্যাপার হচ্ছে বিজ্ঞান আজ যেসব বিষয়ে এখনো স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পারেনি, যেমন পৃথিবীর বাইরে কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা কিংবা থাকলে সেই প্রাণের স্বরূপ কী, অথবা মহাবিশ্বের সঠিক আয়তন, আকৃতি কেমন, ডার্কম্যাটারের অস্তিত্ব, আয়তন ইত্যাদি বিষয়ে বিজ্ঞানের গবেষণা নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলছে, তবে এখনো এ বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ তথ্য আমাদের হাতে নেই। আশ্চর্যের বিষয়, ইসলামের আলেম-ওলামা থেকে মডারেইট আধুনিক মুসলিমরাও এ বিষয়ে নীরব। তাদের কেউই বলছেন না, কোরান-হাদিসের কোথায় এ বিষয়ে কী বলা আছে? অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কারণে আমরা আশঙ্কা করতে পারি আগামীতে যেই জ্যোতির্বিজ্ঞান এ বিষয়গুলি নিয়ে তার গবেষণালব্ধ ফলাফল ঘোষণা করবে অমনি বিজ্ঞানের বক্তব্যকে আজ থেকে প্রায় পনেরশত বছর আগে ‘কাব্যিক ঢঙে লেখা’ কোরান-হাদিসের আয়াতগুলিকে ‘অনুবাদের চাতুরী আর গোঁজামিলের মাধ্যমে’ বিজ্ঞানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ প্রমাণের জন্য উঠেপড়ে লেগে যাবেন ইসলামি পন্ডিতগণ। ইতিমধ্যে আমরা তো দেখেছি, বিজ্ঞানের যেসব আবিষ্কারের নমুনা তারা এরই মধ্যে কোরান-হাদিসের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই এই ধরনের কাজটি করেছেন। একটা সময় ছিল, ধর্মগুলো বিজ্ঞানের কণ্ঠ চেপে ধরেছিল ওগুলো প্রচলিত বিশ্বাস-প্রথাবিরোধী-ঈশ্বরদ্রোহী বলে, অথচ আজ ধর্মগুলো নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই বিজ্ঞানের কাঁধে চড়ে বসতে চাচ্ছে; ধর্ম আর ঈশ্বর বিশ্বাসের মাপকাঠি হয়ে উঠেছে বিজ্ঞান। অনেক মুসলমান বলেন-বৈজ্ঞানিকরা নতুন এমন কিছু আবিষ্কার করতে পারবে না, যার সূত্র বা ইঙ্গিত আগে থেকেই কোরানে দেয়া হয় নাই। সু্ত্র বা ইঙ্গিত যদি আগে থেকেই কোরানে লেখা থাকে তাহলে মুসলিম পন্ডিতগন খুঁজে দেন না কেন কোথায় লুকানো আছে এইডস আর ক্যান্সার রোধের ডি এন এ কোডটা? কিংবা বলতে পারছেন না কেন, আগামী এক শো বছরে বিজ্ঞান নতুন কী কী আবিষ্কার করবে? Stephen Hawkins- এর Pre History of Time পড়ে যারা বিগব্যাং-এর ইঙ্গিত কোরানের আয়াতে (‘কুন ফা-ইয়াকুন’ সুরা ইয়াসিন, আয়াত ৮২) পান, যারা কোরান পড়ে আবাবিল পাখির পায়ের মধ্যে আকাশ থেকে বোমা নিক্ষেপনের সূত্র খুঁজে পান, (সুরা ফিল, আয়াত ৩) যারা জগতের প্রথম মানবের দেহ ৬০ হাত লম্বা আর তার বয়স ৮ হাজার বছর ঘোষণা দেন তারা আসলেই বোকার স্বর্গে বাস করেন।

চলবে-

৪র্থ পর্ব-

১ম পর্ব-

২য় পর্ব-

৩য় পর্ব