সেবারের পঁচিশে দেবী তুমি বর দিয়েছিলে
শিরোনামহীন অনুভূতিরাও যেন ভরিয়ে তোলে
আমার বুভুক্ষু প্রান্তর;

অথচ জন্মান্ধ জাতিস্মরের মত
আমার মহাকালময় অস্তিত্বের মন্দিরের দরোজারা
অর্গলমুক্ত ছিলনা মুহুর্তময়;

আজ শীতের বসন্তে এক একটি জানালার এক একটি কপাটের
নি:সংকোচ উন্মোচন
নীল, সবুজ, বেগুনি, হলুদ আলোর নাটমণ্ডল
বেলী, বকুল, হাস্নাহেনা, মহুয়ার মৌতাতেরা
প্রথম কুঁড়ির মত অবগুণ্ঠন মুক্তির লুকোছুপিতে মত্ত।

এই সকল পার্থিবতা ছাপিয়েও
অসংখ্য অনুভূতিরা আজ আছড়ে পড়ে অনুভবের বেলা ভূমিতে।

সেই ছিঁটেফোটা আশীর্বাদের বিস্মৃতিতে
দেবী আজ যে সৃষ্টিলীলায় মেতেছ
তা তোমার পদধূলির মহিমাকে ম্রিয়মান করেনিএতটুকু।

আজ ইচ্ছে করে কাঞ্চনজঙ্ঘার পদতলে
মৌনমুখর মন্দিরে
অর্ঘ্য সাজাই দেনামুক্তির।

অস্তিত্বহীন আমার ছায়াপথময় ব্যাপ্তিতে
আলো আঁধারিরা সমান বিস্ময়ে ঝলকানি দেয়।

মধ্যরাতের মরিচীকারা পথ দেখিয়েছিল ভূলদ্বীপের বালুচরে;
নিজেকে হারিয়ে পাওয়ার মত সার্থক সেই প্রলয় দেখো
সৃষ্টিশাঁখ বাজিয়েছে অবিরাম।

উত্তরহীন প্রশ্নের মত
নশ্বর স্মৃতিরা আজ
মহাকালের মহাবয়বে অংশ হয়েছে স্বমহিমায়!

লেখকঃ অভি