বেশ কয়েকদিন যাবত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর খোজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। এই খোজ খবরগুলো মানুষের মাধ্যমে নিতে পারিনি, নিয়েছি অন-লাইনে। সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে, বহুরকম শিক্ষা ব্যবস্থা দাড়িয়ে গেছে দেশে শুধুমাত্র বানিজ্যের কারণে। কানাডার সমতুল্য কোন শিক্ষা ব্যবস্থা আছে কিনা জানি না, তবে ফুলে ফেপে বড় হয়ে উঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বলছে, আমাদের প্রতিষ্ঠান বিশ্বের উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমতুল্য। ঐসব প্রতিষ্ঠানে কিছু বিদেশী নাগরিকও দেখতে পেলাম, যাদের বেতন আকাশচুম্বী। কানাডার হাইস্কুলের মত এখানে AP (Advanced Placement), IB (International Baccalaureate)-ইত্যাদি বিশেষায়ীত প্রগ্রাম ও দেখতে পেলাম। অবশেষে টিউশন ফি সম্পর্কে তথ্য নিতে গিয়ে বড় রকমের হোচট খেলাম। গ্রেড টেনের একটা ছাত্র বা ছাত্রীর বার্ষিক টিউশন ফি ধরা হয়েছে ১৭ হাজার মার্কিন ডলার। এটি আবার টাকায় দিলে হবে না, ডলারে দিতে হবে। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমান দাড়ায় প্রায় ১৪ লাখ টাকা। এখন আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে- বাংলাদেশের মত একটা উন্নয়নশীল দেশে কিভাবে এমন এক বা একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারলো? যে শিক্ষা ব্যবস্থা কানাডায় বিনা পয়সায় দেয়া হয়, সেই শিক্ষার সাইন-বোর্ড ধরে কিছু মুনাফা লোভী মানুষ দেশে বানিজ্য করছে। দরিদ্র দেশে এর সঙ্গে কিছু বিদেশীও যুক্ত হয়েছে, কারণ শিক্ষা নিয়ে কানাডাতে বানিজ্য করার কোন সুযোগ নেই। কানাডায় যদি কোন স্কুলশিক্ষক স্কুলের বাইরে টাকার বিনিময়ে কাউকে পড়ায় এবং এই তথ্যটি যদি কর্তৃপক্ষের কানে যায়, তাহলে ঐ শিক্ষকের চাকরী যাবে নিশ্চিত। তাই হয়তো কিছু নীতি ভ্রষ্ট মানুষ দেশীয় কিছু মুনাফাখোরের সাথে মিলে এই অনৈতিক বানিজ্যে লিপ্ত হয়েছে। আর এই বানিজ্যের ফাঁদে পা দিচ্ছে কিছু পয়সাওয়ালা, যাদের পয়সার প্রাচুর্য্য বেড়েছে অল্পশ্রমে বা বিনাশ্রমে। এই দূরদেশে বসে বসে তাই কপালে হাত চাপড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই- হায়রে আমার দেশ। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিস্কার হবে। ওন্টারীওতে একটা প্রাইভেট কলেজ আছে, যার নাম ডেভরাই ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজী। সেখানে প্রতি সেমিস্টারে সর্বোচ্চ টিউশন ফি প্রায় ২১০০ ডলার, সেখানে পাবলিক কলেজে সর্বোচ্চ টিউশন ফি ১৬০০ ডলার প্রতি সেমিস্টারে। পার্থক্য খুব বেশী না এবং একটা সরকারী নীতিমালার মাধ্যমে এই পার্থক্যটাকে নিয়ন্ত্রন করা হয়। তাহলে বুঝুন শিক্ষা-বানিজ্যের ভয়াবহতা কোথায় গিয়েছে বাংলাদেশে।
সেই কবে ছোটবেলায় সবুজ সাথী হাতে নিয়ে শিক্ষা জীবন শুরু করেছিলাম। তারপর একদিন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ নিয়েও বেরিয়েছি। এই দীর্ঘ্য জ্ঞান-যাত্রায় আমার হতদরিদ্র বাংলা-মা আমাকে অনেকটা বিনাপয়সায় শিক্ষার ব্যবস্থাটা করে দিয়েছিল। এসব ভাবতে গেলে আজও এই বিদেশের মাটিতে বসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি। ভাবি, আমি তো কম শিখিনি। কিন্তু আজকের ছেলে মেয়েদের এই কি অবস্থা দেখছি। মাঝে মাঝে তুলনা করে দেখি শিক্ষায় বিদেশীদের থেকে আমি তো কোন অংশে কম নই। তাই হাড়-মাংশ মাটি করা পয়সা সেই মায়ের কথা স্মরণ করে দেশে চলে যায়। দেশে ছাড়া আর কোথাও বিনিয়োগের কথা মনে আসে না। কিন্তু আজ ওখানে কি দেখছি, কি শুনছি? শিক্ষার জগতে নিয়ন্ত্রনহীনতা আমাদের তাহলে কোথায় নিয়ে যাবে? যে শিক্ষা ব্যবস্থা আমি নিজের জন্যে কোন কালে কল্পনা করিনি, তা আমার ছেলেমেয়েদের জন্যে বা আগামী প্রজন্মের জন্যে আমি কিভাবে মেনে নেব? যে শিক্ষা শুধু নিজের একটা পেশা তৈরীতে সাহায্য করে সেই শিক্ষার কোন মুল্য নেই। এই শিক্ষা শুধু স্বার্থপর ব্যক্তিগত উন্নয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, সমাজ ও পৃথিবীর কোন কাজে আসে না। এই রকম একটি শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের দেশে চালু হয়েছে। তাই ওই শিক্ষার মাধ্যমে মানবিক মানুষ তৈরীর পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এই কারনেই হয় তো রাজনৈতিক পরিবর্তনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে, আভ্যন্তরিন ভোক্তার প্রতিযোগিতা বেড়েছে, শোষনের মাত্রাও তীব্র হয়েছে। এই সবই আমাদের শিক্ষার মাধ্যমে এসেছে। তাই মানব উন্নয়ন বলতে যা বোঝায় তা কিন্তু হচ্ছে না, যা হয়েছে তা হলো মানব শোষনের বিভিন্ন হাতিয়ারের উন্নয়ন। শিক্ষা লাভের অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে একটি। কোন কোন দেশে মানুষের এই অধিকারটি সম্পুর্ন রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রীত হয়ে থাকে। আবার কোন কোন দেশে এই নিয়ন্ত্রনটা কিছুটা শীতিল। উন্নত সামান্য কয়েকটি দেশে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে বানিজ্যকরন মুক্ত করে এটিকে সম্পুর্ণ ভাবে নাগরিক মৌলিক অধিকারের মধ্যে আনতে পেরেছে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ এর অন্তর্ভুক্ত। তবে এইসব দেশ গুলোর মধ্যে ফিনল্যান্ড শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান ধরে রেখেছে বেশ কয়েক বছর যাবত। তাছাড়া হংকং, সিঙ্গাপুর,দক্ষিন কোরিয়া সহ এই দেশগুলোও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। তবে উচ্চশিক্ষকে সম্পুর্ণ ভাবে বানিজ্যকরনের বাইরে রাখা পৃথিবীর অনেক দেশের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এর কারন বহুবিদ। তবে আমি কানাডার শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটা তুলনা মুলক আলোচনা করতে চাই। তবে এই ক্ষেত্রে আমি কিন্ডারগার্ডেন থেকে ১২ গ্রেড পর্যন্ত আলোচনায় রাখবো। এই আলোচনার আগে আমি আমার নিজস্ব একটা অভিজ্ঞতার কথা বলতে চাই। ৭-৮ বছর আগে বিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞান লাভের জন্য আমি কানাডার শিক্ষা বোর্ডের শরণাপ্নন হই। যদিও এর পিছনে আরেকটি কারন ছিল তাহলো চারবছরের একটা আন্ডার গ্রাজুয়েশনে ভর্তি যার প্রিরিকুয়িজিট হওয়া লাগবে ১২ গ্রেডের ম্যাথ, বায়োলজি, ক্যামিসট্রি। সারা জীবন আমি ছিলাম কলা বিভাগের ছাত্রী। বিজ্ঞান বিষয়ে আমার তেমন কোন জ্ঞান ছিল না। এই বয়সে এসে সেই কাজটি শুরু করলাম। শুরু করার আগে শিক্ষা বোর্ডের অধিনে আমার দুটো পরীক্ষা হলো। সারা জীবনের সংগৃহীত আমার সমস্ত সার্টিফিকেট জমা দেওয়া লাগলো। এর পর তিন ঘন্টার একটা পরীক্ষা হলো। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই নির্ধারিত হলো আমি কোন গ্রেড থেকে শুরু করবো। কর্ম জীবনের একটা রেজুমি দেওয়া লাগলো। এই সব কিছুই শিক্ষার একটা অংশ হিসাবে বিবেচিত, যা আমার জানা ছিল না। এই সব দেখিয়ে বেশ কিছু ক্রেডিট অর্জিত হলেই বিজ্ঞান বিষয়ে ভাল ভাবেই পড়া লাগবে। গ্রেড ১১ থেকে শুরু হলো আমার স্কুল জীবন। আমার এই পড়াশুনা দেখে বাঙালীদের মধ্যে হাসি তামাশা শুরু হয়েছিল। মাস্টার ডিগ্রী পাশ করা একটা মেয়ে কেন হাইস্কুলে ভর্তি হবে এর কারন আমি তাদের না জানিয়ে আমার মত করে সায়েন্স বিষয়ে পড়াশুনায় মনোযোগ দেই। এই লেখাপড়াটি আমার জীবনে অনেক কাজে লেগেছে।আমাদের দেশের কলা বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা জীবনের একটা অংশ যে বিজ্ঞান, সেই বিষয়ে সারা জীবন একেবারেই অজ্ঞ থেকে যায়। সেই অজ্ঞতা কিছুটা ঘোচাতে পারি এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে। এখানকার হাইস্কুল ডিপ্লোমা নিতে হলে ৪০ ঘন্টার ভলেন্টিয়ার কাজও দেখাতে হবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ৪০ ঘন্টা ম্যাথ টিউটর হিসাবে হাইস্কুলের ছেলে মেয়েদের ম্যাথ শিক্ষা দিয়েছিলাম। আর মনে মনে ভেবেছি জীবনটা আমার ধন্য হয়েছে আজ আমি ম্যাথ শিখাতে পারছি। আসল ব্যাপার হলো কলা বিভাগের ছাত্রী হলেও অংকের জ্ঞানটা আমার আগের থেকেই একটু উপরের দিকেই ছিল। তবে ক্যালকুলাস শিখতে অনেক কষ্ট হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো আমার ঘরের লোকটি হলো ক্যালকুলাসের জাহাজ। তার সহায়তায় কিছুটা শিখা হয়েছিল। এই ভাবেই আমি ১ বছরের মধ্যে আমি বিজ্ঞান বিষয়ে হাইস্কুল ডিপ্লোমা শেষ করলাম। বিজ্ঞান বিষয়ে সাধারন জ্ঞান যে জীবনের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ তা এই প্রতিষ্ঠানে না আসলে কিছুতেই বুঝতে পারতাম না। এর পর আমি আমার মেয়ের স্কুলে প্রায় দুবছর ভলেন্টিয়ার কাজ করি যার ফলে এখানকার শিক্ষা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমি কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করতে চাই। এখানকার কিন্ডার গার্ডেন থেকে ছেলে মেয়েদের বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। আর এই প্রচেষ্টা চলে ৭ বছর পর্যন্ত। গ্রেড ১ থেকেই একটি বাচ্চা মোটামুটি বই পড়ার উপযুক্ত হয়ে যায়। প্রতিটি বাচ্চার জন্য একটি লগ বুক মেইন্টেন করা হয়। যার মাধ্যমে একটি হিসাব থাকবে প্রতি দিন সে কি কি বই পড়ছে। বইয়ের নাম, লেখকের নাম এবং বইয়ের বিষয়বস্তু এইগুলো লগ বইয়ে থাকে। এই বইগুলো সবই পাঠ্য পুস্তাকের বাইরে। তা ছাড়া ক্লাসের কারিকুলাম থাকলেও কোন নির্দিষ্ট পাঠ্য পুস্তাক নেই। কম পক্ষে ২৫টি বই পড়া লাগবে। এই বইগুলো স্কুল থেকে যোগান দিয়ে থাকবে। ক্লাসের বাইরে একটি বাচ্চা বছরে প্রায় ৫০ টা বই পড়ে থাকে। তাহলে কত অজানা জিনিসই না তার জানা হয়ে যায়। তবে এখানে শিক্ষক দ্বারা নির্ধারিত হয়ে যায় যে একটি বাচ্চা কোন লেবেলের বই পড়ার উপযুক্ত হয়েছে। এই ভাবে রিডিং লেবেলের ৪টি ভাগ রয়েছে। এখন আমি আমাদের দেশের দিকে তাকাতে চাই। আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা পাঠ্য পুস্তাকের বাইরে বছরে কয়টা বই পড়ে থাকে তার হিসাব বের করলেই লেখা পড়ার অবস্থা বোঝা যাবে। তাদের মধ্যে কোন বই পড়ার অভ্যাস নেই। এমন কি তারা বছরে একটা বইও পড়ে না। এখন আমি কানাডার গ্রেড টেনে পড়া একটি ছাত্রীর সাহিত্য পাঠ সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দিতে চাই। আমার মেয়ে গ্রেড টেনে পড়ে। তাকে আমি সাহিত্য সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করি। তারপরে সে আমাকে একটি লিষ্ট দেয় সাহিত্য বিষয়ে কি কি পড়েছে এবং জানা হয়েছে।1. Science fiction—The Hunger game series.2. Fantasy—The Percy Jackson series.3. Realistic fiction—The perks of a wall flowers.4. Horror—Stephen King.(author)5. Mystery—Conan Doyle (author)6. Romance—Nicholas Sparks.7. Thriller—The girl with the dragon tattoo.8. Auto-Biography—Anne Frank.9. Graphic Novel—Jeff Smith Stan Lee10. Classical. Tragedy—The Fault our stage.12. Science fiction—Day after tomorrow.13. Dystopian future.14. Utopian future.15. comic book—The bone series.16. Realistic fiction—Romance tragedy. 17.Historical fiction—Pope Joe
লিটারেচার বা সাহিত্যের পাঠ থেকে শিক্ষক ছাত্রের কাছ থেকে যা আশা করে বা Expectation করে তার একটা গ্রস তালিকা এমনঃ1. Reading for Meaning: read and demonstrate an understanding of a variety of literary, informational,and graphic texts, using a range of strategies to construct meaning;2. Understanding Form and Style: recognize a variety of text forms, text features, and stylistic elements and demonstrate understanding of how they help communicate meaning;3. Reading With Fluency: use knowledge of words and curing systems to read fluently;4. Reflecting on Skills and Strategies: reflect on and identify their strengths as readers, areas for Improvement, and the strategies they found most helpful before, during, and after reading.সাহিত্য বিষয়ে জানার আগ্রহ থেকে আমার মেয়ের কাছ থেকে এই লিষ্ট পাই। এখন বাংলাদেশে গ্রেড ১০ পড়ুয়া একটা ছাত্র বা ছাত্রীকে সাহিত্য বিষয়ে কিছু প্রশ্ন করে দেখুন তো কি উত্তর পাওয়া যায়। আমি তাদের কাছ থেকে পাঠ্য পুস্তকের বাইরে সাহিত্য বিষয়ে কোন উত্তর পাইনি। এতেই প্রমানিত হয় আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার মান কতটা নীচে নেমেছে। তাদের জ্ঞানের সীমানা পাঠ্য বইয়ের বাইরে বের হতে পারেনি। ক্লাসে পড়া নাকি এত বেশী যে বাইরের বই পড়ার তাদের সময় নেই। ভবিষ্যতে এই প্রজন্মের কাছ থেকে আমরা কি আশা করতে পারি? ক্লাসে এখন ধর্ম বিষয়ে অনেক জ্ঞান দেওয়া হয়। সেই বিষয়ে আমি আর যেতে চাই না।সাহিত্যের মধ্যে আরেকটি বিষয় আছে তা হলো “মিডিয়া’। এটি সাহিত্যের একটি অংশ যার মাধ্যমে শেখানো হয় পন্যের বিজ্ঞাপনের ভাষা ও কৌশল। কি ধরনের পন্যের ভাষাগত আর্ট উপস্থাপনার আর্ট কেমন হবে, কি ভাবে একে আরো আকর্ষনীয় করা যায় সেই বিষয়ে জ্ঞান দেওয়া হয়। এই মিডিয়া নামক শিক্ষা বিষয়টি আজও আমাদের পাঠ্যপুস্তাকে সংযোগ হয় নি। সাহিত্য পার্টটিকে এখানে ভাষা সংক্রান্ত বিষয় বলা হয়। আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের উপন্যাসের চরিত্রের উপর বেশী জোর দেওয়া হয়। কানাডাতে ছেলে মেয়েদের শেখানো হয় নবেলের মধ্যে যে সব চরিত্রগুলো রয়েছে সেই সব চরিত্রের সংগে বাস্তব জীবনের কানেকশন তৈরী করা শেখানো হয়। যার মাধ্যমে নতুন নতুন আইডিয়া তৈরী করা শিখে ফেলে। আমরা ভাষার থেকে গ্রামার বেশী জানি কারন আমাদের দেশে ছেলে মেয়েদের গ্রামার অনেক শেখানো হয়। এখানে ক্লাসে তেমন কোন গ্রামার শেখানো হয় না। এর কারন কি তা আমার জানা না থাকলে আমার কাছে এর একটি ব্যাখ্যা রয়েছে। ভাষা একটি চলমান ধারা। গ্রামারের মাধ্যমে এই চলমান ধারাকে আটকিয়ে রাখা উচিত না। অর্থাৎ ভাষার জন্যই গ্রামার গ্রামারের জন্য ভাষা নয়। এই কারনেই হয়তো স্কুলে গ্রামারের উপর জোর দেওয়া হয় না। এখন আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা কি শিখছে তা জানতে পারলেই এখানে দেওয়া তথ্যের সাথে কমপেয়ার বা তুলনা করা যেতে পারে।